তিন দাবিতে গণ-অনশনে বসেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচিতে অটল থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তারা। ১২ জানুয়ারি রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—
তাদের দফাসমূহঃ
১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে।
২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।
৩. যতদিন অব্দি আবাসন ব্যবস্থা না হয় ততদিন পর্যন্ত ৭০% শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
অনশনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী আবাসনের জন্য যে আন্দোলন করি, তার ফলে মন্ত্রণালয় ঘেরাও করি। সেখানে আমাদের একটা মিটিং হয় উপদেষ্টা, ইউজিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। ওখানে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে তারা এটা সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে পারবে, এতে মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির কোনো বাধা নেই।
তারা আরও বলেন, আমরা প্রশাসনকে যৌক্তিক সময় দিয়েছি যেন তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটা ফলাফল দেয়। ওই মিটিংয়ের পর অনেকবার প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করেছি, আপডেট চেয়েছি। তারা আমাদের বলেছে, ‘কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, চিঠি দিয়েছি, আমাদের ওপর ভরসা রাখো।’ কিন্তু এই কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ প্রশাসন। তারা এর বাইরে যেহেতু আর কোনো কথা বলছে না, এ জন্য আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। আমাদের দাবি না মানা অবধি অনশন থেকে উঠব না।
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, 'আমরা ৩ দাবিতে গণ-অনশনে বসেছি। ২য় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের জন্য যে বড় একটা আন্দোলন হলো এবং সেখানে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করতে পারে কিন্তু আমরা দেখতে পাই প্রশাসনের এ ব্যাপারে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই তাই আমরা গণ-অনশন কর্মসুচি ঘোষণা করেছি।
শিক্ষার্থীদের অনশনের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, 'আমাদের শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীদের দাবি মূলত আমাদের দাবির অংশ।'